আপদ চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকি নিরূপন জনিত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (Hazard Identification and Risk Assessment MS)


আপদ চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকি নিরূপন নীতিমালা ও পদ্ধতি
(Hazard Identification and Risk Assessment Policy)

উদ্দেশ্যঃ
কারখানার প্রতিটি শাখার কাজের জায়গায় এবং এর আশেপাশের সকল অংশের সম্ভাব্য ঝুঁকি (যেমন- মেশিন নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তা, বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ইত্যাদি) নিরূপন করে সেই ঝুঁকি হ্রাস করার মাধ্যমে কারখানা এবং কারখানার কর্মীগনের সার্বিক কর্ম নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা প্রদান করা। 

পদ্ধতিঃ

১। প্রতিটি শাখার (অগ্নি নিরাপত্তাসহ) জন্য আলাদা আলাদাভাবে ঝুঁকি নিরূপন করাঃ

দায়িত্বঃ
সেফটি কমিটি, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং জুনিয়র অফিসার/অফিসার (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স)
ফলোআপঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) নিশ্চিত করবেন পলিসি এবং ফাইন্ডিংস অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা। 
যোগাযোগ প্রক্রিয়াঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) সেইফটি এন্ড কমপ্লায়েন্সন্স ঝুঁকি মুল্যায়ন করবেন এবং ব্যবস্থাপক এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স সাহেবকে অবহিত করবেন।
প্রশিক্ষনঃ
প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সকলকে ঝুঁকির ব্যাপকতা এবং এর হ্রাস করন সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
প্রশিক্ষকঃ
ক) সহকারী ম্যানেজার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
খ) অফিসার/সিনিয়র অফিসার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
গ) অফিসার ফায়ার এন্ড সেইফটি
গ) কল্যাণ কর্মকতা

প্রশিক্ষনের বিষয়বস্তুঃ
  • ঝুঁকি মুল্যায়ন করণ, এবং
  • ঝুঁকি হ্রাসকরণ।

২। প্রতিমাসে একবার ঝুঁকি পুনমূল্যায়ন করাঃ

দায়িত্বঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স)
ফলোআপ করবেনঃ
ম্যানেজার এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রতিমাসে ফলোআপ করবেন এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

৩। যে সকল ব্যক্তিগন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদের সনাক্ত করাঃ

দায়িত্বঃ
সেফটি কমিটি, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং জুনিয়র অফিসার/অফিসার (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স)
ফলোআপঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) নিশ্চিত করবেন। 
যোগাযোগ প্রক্রিয়াঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) যে সকল ব্যক্তি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদের সনাক্ত করে ম্যানেজার এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স সাহেবকে অবহিত করবেন।
প্রশিক্ষনঃ
প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সকলকে ঝুঁকির ব্যাপকতা এবং এর হ্রাসকরন সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
প্রশিক্ষকঃ
ক) সহকারী ম্যানেজার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
খ) অফিসার/সিনিয়র অফিসার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
গ) অফিসার ফায়ার এন্ড সেইফটি
গ) কল্যাণ কর্মকতা

প্রশিক্ষনের বিষয়বস্তুঃ
  • ঝুঁকি মুল্যায়ন করণ, এবং
  • ঝুঁকি হ্রাসকরণ।

৪। ঝুঁকির ব্যাপকতা পরিমাপ করার জন্য স্কোরিং (নম্বর) পদ্ধতি ব্যবহার করাঃ
দায়িত্বঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) নিশ্চিত করবেন।
ফলোআপঃ
উপরোক্ত দুজন প্রতিমাসে ঝুঁকি পনর্মুল্যায়ন করবেন।
যোগাযোগ প্রক্রিয়াঃ
সিনিয়র অফিসার/সহকারী ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) ঝুঁকি পুনঃ মূল্যায়ন করে ম্যানেজার এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স সাহেবকে ঝুঁকি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রদান করবেন।
প্রশিক্ষনঃ
ঝুঁকির ব্যাপকতা  হ্রাস পেল না বৃদ্ধি পেল তার মাধ্যমে প্রশিক্ষনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা যায়।
প্রশিক্ষকঃ
ক) সহকারী ম্যানেজার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
খ) অফিসার/সিনিয়র অফিসার (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
গ) অফিসার ফায়ার এন্ড সেইফটি
গ) কল্যাণ কর্মকতা
প্রশিক্ষনের বিষয়বস্তুঃ
    • ঝুঁকি মুল্যায়ন করণ, এবং
    • ঝুঁকি হ্রাসকরণ।
ঝুঁকি মুল্যায়নের জন্য প্যারামিটার সমুহঃ
                F      =      Frequency

                S      =      Severity

                L      =      Low Risk (LR)

                M     =      Medium Risk (MR)

                H      =      High Risk (HR)


৫।  অগ্নি ঝুঁকির ক্ষেত্রে আলাদা সীট (ফরমেট) ব্যবহার করা হয়।


দায়িত্বঃ
এক্সিকিউটিভ সেইফটি এবং এক্সিকিউটিভ কমপ্লায়েন্স ।

ফলোআপঃ
উপরোক্ত দুজন এক্সিকিউটিভ প্রতিমাসে ঝুঁকি পুনমুল্যায়ন করবেন।

যোগাযোগঃ
ঝুঁকি পনমুল্যায়ন করে ম্যানেজার এইচ আর, এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স সাহেবকে রিপোর্ট করবেন। ঝুঁকি কমে গেলে নতুন একটি সিট ব্যাবহার করবেন।

প্রশিক্ষনঃ
ঝুঁকির ব্যাপকতা হ্রাস পেল না বৃদ্ধি পেল তার মাধ্যমে প্রশিক্ষনের কার্যকারিতা মুল্যায়ন করা যায়।

প্রশিক্ষকঃ
ক) ম্যানেজার এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স।
খ) এক্সিকিউটিভ সেইফটি।
গ) এক্সিকিউটিভ কমপ্লায়েন্স।

প্রশিক্ষনের বিষয়বস্তুঃ
ঝুঁকি মুল্যায়ন ও হ্রাসকরণ। 
 

৬।  পলিসি প্রস্তুত  এবং রিভিশন হওয়ার পর নিন্মেক্ত ভাবে তা অবহিত করা হয়ঃ


ঝুঁকি নিরূপন পদ্ধতি

(Risk Assessment Procedure)



ঝুঁকি নির্ধারণ পদ্ধতিঃ
  • কর্মস্থল পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে।
  • কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের অভিযোগ শুনে।
  • দূর্ঘটনা পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে।
  • মেশিনারিজ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে
  • স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সামাজিক ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে।

আমাদের কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের যে সমস্ত ঝুঁকি আছে তাহার বিবরণঃ

কাটিং সেকশনঃ
অসাবধানভাবে কাটিং মেশিনে কাজ করলে হাত কেঁটে যেতে পারে। এমনকি হাত দু’টুকরো হয়ে যেতে পারে যা তার জীবনের একটি স্থায়ী অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া কাজ করার সময় কাপড়ের ছোট ছোট কণা বাতাসের সঙ্গে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নাকে মুখে প্রবেশ করে সর্দি-কাশি, ব্রংকাইটিজ এমনকি অদূর ভবিষ্যতে যক্ষার মত মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
কাটিং মেশিনে কাজ করার আগে অপারেটর যেন মানসিকভাবে প্রস্তত থেকে সাবধানতার সহিত মেশিন অপারেটর করে সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ধাতব হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কাপড়ের ছোট কণা যাতে মুখে প্রবেশ করতে না পারে যে জন্য মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।

সুইং সেকশনঃ
সুইং মেশিনে গার্ড ব্যবহার না করলে হাতের আঙ্গুল যখম হতে পারে। মটর পুলি কভার, বেল্ট কভার ইত্যাদির অভাবে যে কোন সময় ওড়না, সেলোয়ার-কামিজ অথবা চুল পেঁচিয়ে বিভিন্ন দূঘটনা সহ শারিরীক জখম হতে পারে। লক মেশিনে কাজ করার সময় কাপড়ের ছোট ছোট কণা নাকে মুখে ঢুকে শ্বাসনালীর বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। যে সমস্ত অপারেটর বাটন স্টিজ, বাটন হোল, স্ন্যাপ বাটন, কাঞ্চাই মেশিন অপারেট করেন তারা বিচ্চুরিত কণা বা টুকরা দ্বারা চোখে আঘাত প্রাপ্ত হতে পারেন।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
মেশিনের ধরন অনুযায়ী সকল ধরনের প্রটেকটিভ গার্ড অর্থাৎ নিডেল গার্ড, পুলি কভার, বেল্ট কভার ইত্যাদি থাকতে হবে এবং সকল লক অপারেটরদের অবশ্যই মুখোশ ব্যবহার করতে হবে। যে সকল অপারেটর বাটন স্টিচ, বাটন হোল, স্ন্যাপ বাটন, কাঞ্চাই মেশিন অপারেট করেন তার অবশ্যই সফটি গগলস বা সেফটি গ্লোবস ব্যবহার করবেন।

আয়রনিং সেকশনঃ
আয়রন ম্যানদের পায়ের নীচে রাবার ম্যাট না থাকলে বৈদ্যুতিক শক হতে পারে। আয়রনিং হ্যান্ডল এর টিউব প্রটেকটিভ না থাকলে আয়রন স্যু না থাকলে হাত পুঁড়ে যেতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
আয়রন করার পূর্বে ও পরে যে সকল বিষয়ে চেক করতে হবে তা যথাযথভাবে শিখাতে হবে। আয়রন ম্যানদের জন্য যে সকল নির্দেশাবলী যথাস্থানে প্রদর্শিত আছে তাহা মানিয়া চলিতে হইবে। পায়ের নিচে অবশ্যই রাবার ম্যাট থাকতে হবে।

সিজার/কাটার ব্যবহার কারীগণঃ
যে সমস্ত শ্রমিক সিজার/কাটার ব্যবহার করেন তাদের হাত থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত বা ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। অন্যেরাও আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
যারা সিজার/কাটার ব্যবহার করেন তাদের অবশ্যই সেটি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে এবং গলায় বা মেশিনের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

ভাঙ্গা কাটার/নাইফ/ভাঙ্গা নিডেল ইত্যাদি যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে হাতের সংস্পর্শে এসে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

ভাঙ্গা কাটার/নাইফ ইত্যাদি ষ্টোরে জমা দিতে হবে। পলিসি অনুযায়ী ভাঙ্গা নিডেল অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ করতে হবে।

ষ্পট রিমোভিং রুমঃ
কোন কারণে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে এসিটোন গ্যাস ভিতরে গেলে যন্ত্রনার অনুভ‚তি সৃষ্টি করে। যা থেকে কাশি, নিস্তেজতা, অসারতা, অচেতনতা, মাথা ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে। এসিটোন ত্বকের সংস্পর্শে আসলে লালচে ভাব, শুষ্কতা, ত্বকে ব্যথা বা ত্বক ফেটে যেতে পারে।

চোখের সংস্পর্শে আসলে জ্বালা, লালচে ভাব, পানি পড়া, চোখে ব্যথা করতে পারে। যা থেকে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
অপারেটরকে অবশ্যই প্লাষ্টিকের হাতমোজা, মুখোশ, চশমা ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। স্পট রিমুভিং রুমে টাঙ্গানো নির্দেশাবলী সম্পর্কে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। রুমটি জানালা ও হাত মুখ ধোঁয়ার বেসিন সহ খোলা মেলা হতে হবে।

জেনারেটর রুম/বয়লার রুমঃ
শব্দ দূষনের ফলে কানে কম শোনা এবং বধির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইলেকট্রিক শক করতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
এয়ার প্রটেকটর বা কানের ছিপি বা এয়ার প্লাগ এবং রাবার বুট, জ্যাকেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

অগ্নি দূর্ঘটনাঃ
কোন কারনে কারখানায় আগুন লাগতে পারে যাহা শ্রম নিবিড় কারখানার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বিষয়। আগুন নিয়ন্ত্রকগণ নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে লেগে গেলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
কারখানায় প্রশিক্ষিত ফায়ার কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে। নিজেদের নিরাপত্তা সম্বন্ধে তারা সম্পূর্ণ ওয়াকেবহাল। মাঝে মাঝে এই সমস্ত বিষয়ের উপর ট্রেনিং করানো হয়। প্রয়োজনীয় পিপিই যেমন- ফায়ার প্রুফ হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক ইত্যাদি তাৎক্ষণিক ব্যবহারের জন্য উক্তরূপ স্থানের নিকটেই মজুদ আছে।

সিঁড়ি ব্লক করে রাখা, চলাচলের পথে মালামাল রাখা, গেট বন্ধ রাখা, ফায়ার ড্রিল না করা ইত্যাদি বড় রকমের ঝুঁকি। এই গুলির কারণে অগ্নিকান্ডের মত বড় ধরনের দূর্ঘটনায় সমূহ বিপদের আশঙ্কা থাকে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
সিঁড়ি কখনো ব্লক করা যাবে না। চলাচলের পথ বাঁধামুক্ত রাখতে হবে। মাঝে মাঝে ফায়ার ড্রিল করতে হবে। অগ্নিকান্ডের সময় কিভাবে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তাহার শিক্ষা প্রত্যেক শ্রমিককে অগ্নিকান্ডের বা বিপদের সময় তৎসম্পর্কে হুশিয়ার করার জন্য সুষ্ঠুভাবে শ্রবণযোগ্য হুশিয়ারী সংকেতের ব্যবস্থা সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক থাকিতে হইবে।

অতিরিক্ত  ভারবহনঃ
অতিরিক্ত ওজন বহনের ফলে কোমড়, ঘাড়, বুক ইত্যাদি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
অতিরিক্ত ভার বহনের ফলে শারিরিক ক্ষতি হতে পারে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং অন্য কাহারো সাহায্য ব্যতীত প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ শ্রমিক ৬৮ পাউন্ড এবং প্রাপ্ত বয়ষ্ক মহিলা শ্রমিক ৫০ পাউন্ডের বেশী মাল বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কম আলোতে কাজ করা, কর্মস্থলে অধিক তাপমাত্রা, অতিরিক্ত শব্দ, বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যও জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কম আলোতে দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। অধিক তাপমাত্রার ফলে অস্থিরতা, দূর্বলতা, কাজের প্রতি অনিহা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত শব্দ ও বায়ু দূষনের ফলে দেহ মনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পেেড়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদি
সাধারণ বাতিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে শ্রমিকের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই কারখানায় সাধারণ বাতির পরিবর্তে টিউব লাইট ব্যবহার করতে হবে। বায়ু চলাচলের জন্য খোলা দরজা জানালা সহ স্থানে স্থানে পর্যাপ্ত পরিমানে এক্সজাস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা আছে ফলে কর্মস্থলের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। শব্দ দূষনের প্রভাব হইতে মুক্তির জন্য কারখানায় উচ্চ স্বরে গান বাজানো নিষেধ। থ্রেড চেকিং মেশিন, জেনারেটর রুম, বয়লার রুম ইত্যাদি অধিক শব্দ উৎপাদনকারী মেশিনারিজ যথা সম্ভব কর্মস্থলের নিরাপদ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। এই সমস্ত অধিক শব্দ উৎপাদনকারী মেশিনারিজ রুমে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পিপিই ও ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে হয়।

ক্লিনিং সেকশনঃ
            ক্লিনিং বিভাগে কর্মরত শ্রমিকদের শ্বাস নালির প্রদাহ, ব্রংকাইটিজ, পেটের পীড়া, খোশ-পাঁচড়া                     হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাদিঃ
ধূলাবালি, কাপড়ের কণা ও ময়লা আবর্জনা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা ছাড়াও রাবার হ্যান্ড গ্লোভস, মুখোশ ও নির্দিষ্ট পোশাক ব্যতিত কাজ করতে দেওয়া যাবে না।

ঝুঁকি নির্ধারন পদ্ধতিতে যে সমস্ত নীতিমালা বা পদ্ধতি করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করা হয়। পরিবেশ সংক্ষণের ব্যবস্থায় আমরা অত্যন্ত সচেতন। পরিবেশ দূষণ রোধে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। কারখানার সকল পর্যায়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈষম্য, চাকুরীর অনিশ্চয়তা, কম বেতন, অধিক কর্মঘন্টা, ফোর্স লেবার, বিভিন্ন ধরনের হয়রাণী ইত্যাদির মতহ সামাজিক ঝুঁকি নির্ধারণ সহ তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আলাদা আলাদা নীতিমালা ও পদ্ধতি প্রনয়ন সহ শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়। আমারা বিশ্বাস করি ভাল কর্মপরিবেশ উৎপাদনশীলতার মূল শর্ত। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ, প্রশিক্ষণ ও পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সকল নীতিমালার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে থাকি। এই ধরনের সব কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় এবং পরিদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। 
===0===0===0===

No comments

Powered by Blogger.