হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা (Anti Harassment & Anti Abuse Policy)
হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা
(Anti Harassment & Anti Abuse Policy)
ভূমিকাঃ
শরীফ গ্রুপ একটি নীট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ যেখানে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি প্রত্যেক শ্রমিকের শারীরিক, মানসিক ও মনস্তাত্তিক নিরাপত্তা এবং তাদের কর্মপরিবেশ সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক রাখতে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শ্রমিকদের কর্মকালীন সময়ে তার কর্মপরিবেশ হয়রানি বা অপব্যবহার মুক্ত এবং কর্ম-পরিবেশ সাচ্ছন্দময় করতে কর্তৃপক্ষ সদা তৎপর এবং এরই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন আচরণ করে যা এই নীতিমালার বহির্ভূত বা এরকম আচরণে কাউকে উৎসাহিত বা প্ররোচিত করে তবে কোম্পানী তার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সংশোধন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। শরীফ গ্রুপ সকল ক্ষেত্রে দেশে বিদ্যমান আইনের আলোকে এবং ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে।
উদ্দেশ্যঃ
সকল স্তরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকতাদের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে হয়রানি বা নির্যাতন মুক্ত কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ব্যবসার সাথে জড়িত সকলকে নিয়ে হয়রানি বা নির্যাতন মুক্ত কর্ম-পরিবেশ সুষ্ঠু, সুশৃংঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক কারখানা গড়ে তোলা। হয়রানির ফলে কর্মীদের স্বাস্থ্যগত, ব্যক্তিগত ও সার্বিক কল্যাণে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পরে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। যদি কোন কর্মী কোনরূপ হয়রানির শিকার হন তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কি কি নেওয়া হতে পারে তা নির্ধারণ করা।
প্রতিশ্রুতিঃ
কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে এবং এ বিষয়ে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে শরীফ গ্রুপ কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। কারখানার প্রতিটি কর্ম এলাকায় হয়রানি ও নির্যাতন ইস্যুটি জিরো টলারেন্স হিসাবে বিবেচিত হয়। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়, তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্রবিশেষে ক্রেতাদের আচরণবিধিও মানা হতে পারে । শরীফ গ্রুপ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে ।
রেফারেন্সঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ২০০৬ সালের শ্রম আইন-৩৩৭, (সংশোধিত-২০১৩), শ্রম বিধিমালা ২০১৫-বিধি-৩৭ আইএলও কনভেনশন ও বায়ারের নীতিগত আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রণীত।
লক্ষ্যঃ
প্রচলিত শ্রম আইন ও শ্রমবিধি অনুযায়ী সকল স্তরেরশ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকতাদের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে হয়রানি বা নির্যাতন মুক্ত কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করা।
আওতা ও পরিধিঃ
হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রনীত নীতিমালা ও পদ্ধতিটি শরীফ গ্রুপ এ কর্মরত সকল স্তরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে এবং এই কোম্পানির মালিকানাধীন কোন কারখানা স্থাপিত হয় বা কর্মএলাকা বর্ধিত হয় তবে উক্ত কর্মএলাকায়ও তা সমভাবে প্রতিস্থাপিত হবে।
হয়রানির সংজ্ঞাঃ
হয়রানি এক বা একাধিক ব্যক্তি দ্বারা সংগঠিত এমন ধরনের অপ্রত্যাশিত আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, মন্তব্য যা অন্য ব্যক্তির কাছে অপমানজনক, আতঙ্কজনক, অমানবিক, যন্ত্রনাদায়ক, প্রতিহিংসাপূর্ণ, অধ:পতন ফলশ্রুতিতে অস্বস্তিকর এবং সংকটপূর্ণ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
যেভাবে হয়রানি ঘটেঃ
- কোন ব্যক্তির (বিশেষ করে মহিলা) দৈহিক গঠন, ধর্ম,বর্ণ, জাতীয়তা ইত্যদি নিয়ে তামাশা করা বা টিজিং করা বা বিব্রত করা বা অগ্রহনযোগ্য মন্তব্য করা।
- ভয় বা কাজের ভুলের শাস্তি দিয়ে কারো আত্বমর্যাদায় আঘাত করা।
- অনাকাঙ্খিত স্পর্শ করা।
- অনৈতিক আচরণ, মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা যৌন কার্য সাধনে আমন্ত্রন করা।
- যেকোন ধরনের দৈহিক বা মানসিক বা যৌন লাঞ্চণা।
- অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার: নিয়মিত উচ্চস্বরে হাঁকডাক /অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার। মৌখিক ভাবে গালিগালাজ করে কোন শ্রমিককে হয়রানি করা।
যৌন হয়রানির সংজ্ঞাঃ
যৌন হয়রানি হলো যৌন ইচ্ছা পূরণের জন্য অনভিপ্রেত আচরণ যা একজন ব্যক্তিকে বিক্ষুব্ধ, হীন বা আতঙ্কিত করে তোলে। যৌন হয়রানি শুধুমাত্র দৈহিক নির্যাতন নয় তার মধ্যে রয়েছে এমন ধরনের আচরণ যা যৌন দিকটাকে ইঙ্গিত করে যেমন- কারো যৌন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করা।
যৌন হয়রানির প্রকারভেদঃ
- কুইড-প্রো-কো (Quid Pro Quo): কার্যক্ষেত্রে কোন কর্মীকে চাকুরিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া বা চাকুরি নিরাপদ রাখার শর্তে যৌন কাজে প্রলুব্ধ করা বা চাপ দেওয়া।
- প্রতিকূল কর্ম পরিবেশ (Hostile Work Environment): উর্ধ্বতন বা সহকর্মী কর্তৃক এমন ধরনের আচরন যা গ্রহিতার কাছে কর্মপরিবেশকে অসহনীয়, বিক্ষুব্ধ এবং আতঙ্কিত করে তোলে।
যেভাবে যৌন হয়রানি ঘটেঃ
- অযাচিত স্পর্শ, আলিঙ্গন করা, চুমু খাওয়া, গায়ে হাত দেওয়া, চিমটি কাটা, থাপ্পর দেয়া, ধাক্কা দেওয়া, গায়ে হাত বুলানো বা জনসম্মুখে অপদস্ত করা ইত্যাদি।
- যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ গল্প করা।
- হয়রানিমূলক, নেতিবাচক বা ভয় দেখিয়ে কিছু করা, ব্যক্তিগত জীবন বা শরীর নিয়ে অনধিকারমূলক প্রশ্ন করা, কটাক্ষ করে যৌনতা ইঙ্গিত করে কিছু বলা, অপ্রত্যাশিত যৌন সম্পর্কের আমন্ত্রন বা বাইরে বেড়ানো জন্য বার বার অনুরোধ করা, হয়রানিমূলক নোংরা মন্তব্য করা ইত্যাদি।
- আকার ইঙ্গিতে যৌনতা প্রকাশ করা, যেমন: স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, আড় চোখে তাকানো, চোখ টেপা, খুব কাছাকাছি দাড়ানো বা বিভিন্ন যৌন উদ্দিপক উপকরনের মাধ্যমে (কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দায় কোন ছবি বা বার্তা দেখানো, ই-মেইলে অনৈতিক কিছু দেখানো, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো বা চিরকুটে কিছু লেখা বা ইন্টরনেটে যৌন সাইট ব্যবহার করে কোন কিছু দেখানো ইত্যাদি) যৌন হয়রানি প্রকাশ পায়।
- কর্মক্ষেত্রে কোন ছবি দেখানো যা যৌনতার ইঙ্গিত করে।
- কর্মক্ষেত্রে কোন সুবিধার বিনিময়ে যৌন আমন্ত্রন জানানো।
- সকল প্রকার যৌন লাঞ্চনা।
যৌন হয়রানির বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ঃ
(Decree of High Court regarding Sexual Harassment)
২০০৯ সালের ১৪ ই মে হাইকোর্ট একটি রায় দেন। এ রায়ে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়নকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যেকোন ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। ইমেইল, এস এম এস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নগ্রাফি, যেকোন ধরনের চিত্র, অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানির পর্যায় পড়ে।
শুধু কর্মস্থল কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের হয়রানি ঘটে না, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে যেকোন ধরনের অশালীন উক্তি, কটুক্তি করা, কারো দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো প্রভৃতি যৌন হয়রানি হিসেবে গন্য হবে। রায়ে বলা হয়, কোন নারীকে ভয়- ভীতি প্রদর্শন, যেকোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করা, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন, অশালীন চিত্র দেয়াল লিখন, আপত্তিকর কিছু করাও যৌন হয়বরানির মধ্যে পড়ে। হাইকোর্টের এ নির্দেশে উল্লেখিত আচরণগুলো সবই দন্ডবিধির ২৯৪, ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় বর্ণিত আছে। ইভ টিজিং আর যৌন হয়রানি একই অপরাধের আওতায় বিচার হতে বাধা নেই হাইকোর্টের রায়ে।
নির্যাতনের সংজ্ঞাঃ
নির্যাতন হলো আচরণ নিয়ন্ত্রন করার একটি ধরন যা কোন কিছু আদায় করতে বা ক্ষমতা বজায় রাখতে বা কারো উপর কর্তৃত্ব আরোপ করতে ব্যবহার করা হয়।
কিভাবে নির্যাতন হয়ঃ
- মৌখিক: অবাঞ্চিত বা অশ্রাব্য কথা বা শব্দ দিয়ে কাউকে আঘাত করা।
- মনস্থাত্ত্বিক শিষ্টাচার বহি:ভূত আচরন যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে।
- আতঙ্কিত করণ: কোন ব্যক্তির কথা, অঙ্গভঙ্গি, চেহারার অভিব্যক্তি যা অন্য মানুষের জন্য ভীতির সৃষ্টি করে।
- বিচ্ছিন্নকরন: দৈহিক বা মানসিক পীড়ন যা ব্যক্তির পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্ক সংর্কীর্ণ ও সীমাবদ্ধ করে ফেলে।
- জ্বালাতন অনভিপ্রেত স্পর্শ বা একাধারে/ একদৃষ্টিতে/ অপলক তাকিয়ে থাকা।
- ক্স ধর্ম: ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে নারীদের সমান সুযোগ না দেওয়া বা পুরুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া।
- যৌন নির্যাতন: অনাকাঙ্খিত যৌন আচরণ যা একপক্ষের জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রনে হয় বা এক পক্ষের পরিতৃপ্তির মাধ্যমে ঘটে।
- আর্থিক: অর্থের বিনিময়ে কোন সুবিধা নেয়া।
- অনাকাংঙ্খিত শারীরিক সংস্পর্শ: যার দ্বারা কেউ শারীরিক বা মানসিক ভাবে আঘাত পেতে পারেন এবং সেই সকল শাস্তি যা শারীরিক অসুস্থাতার সৃষ্টি করতে পারে।
- শ্রমিকের প্রতি কোন প্রকার বস্তু নিক্ষেপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করানোর জন্য কোন বস্ত প্রদর্শন করা।
- অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা ।
- কাজে ভূল করলে চিৎকার করা, বাজে আচরন করা, মারধর করা ইত্যাদি।
- কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তীতে দাড় করিয়ে রাখা।
- ছুটির জন্য আবেদন করলে ছুটি না দেওয়া, ছুটি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করানো।
- মানবিক বিষয়গুলো উপলব্ধি না করে তাদের সাথে অশোভন আচরন করা।
হয়রাণি ও নির্যাতন প্রতিরোধে ব্যবস্থা সমুহঃ
- কারখানায় হয়রানি ও নির্যাতনের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা । যদি কোন কর্মী ফ্যক্টরীর ভিতর অন্য কোন কর্মীকে কোন ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন করে থাকে তাহলে তার অবস্থান বিবেচনা না করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ সংশোধন মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা।
- পদ বা পদবী বা বয়স অনুযায়ী সবাই সবাইকে সম্মান করা। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা এবং কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কোন কথা না বলা ।
- সিকিউরিটি ব্যবস্থায় মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে মহিলা সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা এবং মহিলা কর্মীদের কারখানার ভিতরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় চেক আপ ও সহযোগীতার ক্ষেত্রে মহিলা সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা।
- সংখ্যালঘু, উপজাতি / আদিবাসীদের সম্পর্কে কোন ধরনের অপমানজনক কথা বা ইঙ্গিত না করা।
- হয়রানি ও নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ পেশ করার জন্য কর্মীদের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরাপদ ও গোপনীয়তার পরিবেশের ব্যবস্থা করা।
- কারো বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত শুনানীর জন্য তাকে কোন ধরণের হয়রানি না করা।
- কোন শ্রমিক বা কর্মী তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরূব্দে কোন ধরনের অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ হুমকি আসবে না - তা নিশ্চিত করা।
- শ্রমিক বা কর্মীরা হয়রানি ও নির্যাতনের সম্মুখিন হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরীর পার্শ¦বর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধির সাহায্য নিতে পারবেন তার ব্যবস্থা করা।
- এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে বা গোপনীয়ভাবে অভিযোগের ক্ষেত্রে হটলাইন নম্বরঃ ০১৬৬৬৬৬৬৬৬ এ যোগাযোগ করা এবং প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
- প্রতি ৩ মাস পর পর “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিতে” পলিসি কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা করার ব্যবস্থা করা।
ফ্লোর ব্যবস্থাপকদের দ্বারা গৃহিত পদক্ষেপঃ
- সুপারভাইজার, ইনচার্জ ও ফ্লোর ব্যবস্থাপকদের সবসময় পেশাগত আচরন প্রদর্শন করতে হবে। কাজে ভূল করলে শ্রমিককে বুঝিয়ে বলা, অনুপস্থিত থকলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া এবং ছুটি নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া, ছুটি চাইলে ছুটি দেওয়া এবং এ বিষয়ে সহায়তা করা।
- বাৎসরিক পারফরমান্স মূল্যায়ন করার সময় সুপারভাইজার, ইনচার্জ ও ফ্লোর ব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছে কিনা তা যাচাই করা।
- হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা পর্যবেক্ষন করা বা সুপারভাইজারগন তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করছে কিনা তার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা।
যৌন হয়রাণি প্রতিরোধে গৃহিত ব্যবস্থা সমুহঃ
- যৌনতার ইঙ্গিত করে এমন কোন কিছু কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে না রাখা, কারখানার অভ্যন্তরে যৌনতার কোন সাইটে ভিজিট না করা।
- যৌন হয়রানির ধরন ও তার বিরুদ্ধে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য নোটিশ বোর্ড বা শ্রমিক-কর্মচারী চলাচলের জায়গায় টানিয়ে রাখা।
প্রশিক্ষণঃ
- নতুন নিয়োগকৃত কর্মীদেরকে ওরিয়েন্টশনের সময়ই হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা দেওয়া এবং এ বিষয়ে কোম্পনির সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়মিত প্রশিক্ষন দেওয়া । শ্রমিকদের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের হয়রানি ও নির্যাতনের ধরনসমূহ এবং এর বিরুদ্ধে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি ৬ মাস পর পর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
- পারস্পারিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যাতে সবাই নিজেকে নিরাপদ মনে করে। কিভাবে শ্রমিক ও কর্মচারীদের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করা যায় সে বিষয়ে সুপারভাইজার ও ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষন দেওয়া।
- কর্মীদের প্রশিক্ষন দেওয়ার সময় এ পলিসির কপি প্রত্যেককে সরবরাহ করা। এর বাইরেও কেউ যদি এই পলিসির কোন কপি সংগ্রহ করতে চায় তাহলে সে এইচ. আর বিভাগ থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে সংগ্রহ করতে পারবেন।
সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনঃ
প্রত্যেক পুঞ্জিকা বৎসরে অন্তত (১) একবার ফ্যাক্টরী এলাকায় হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে একটি র্যালী বা কর্মশালার আয়োজন করা। যেখানে শ্রমিকগন স্বেচ্ছায় অংশগ্রহন করতে পারবে । উক্ত কর্মশালায় হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে একটি স্লোগান থাকবে এবং অংশগ্রহনকারীগণ হাতে লেখা পোষ্টার নিয়ে অংশগ্রহন করবে।
জরীপ পরিচালনা, তথ্য বিশ্লেষণ ও রিপোর্টঃ
কারখানায় হয়রানি ও নির্যাতন এর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করার নিমিত্তে প্রতি পুঞ্জিকা বৎসরে সম্পূর্ণ ফ্যাক্টরী এলাকা থেকে স্যম্পল বেসিসে অন্তত একবার একটি জরীপ পরিচালনা করা।
জরীপকালীন সময় লক্ষ্যনীয় বিষয়ঃ
- সম্পূর্ণ কর্মএলাকায় কর্মরত শ্রমিকদের পক্ষ হতে ৩%-৫% হারে জনবলের উপর জরীপ পরিচালনা করা।
- জরীপকালীন সময় সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যেন মুক্তভাবে মতামত প্রদান করতে পারে তার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- মতামত প্রদানকারী পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা।
- পুরুষ এবং মহিলাদের অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যানুপাতিক হার বিবেচনায় আনা।
- স্থানীয় ও অন্যান্য শ্রমিকদের আনুপাতিক হারে অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।
- কোন শ্রমিক তার মতামত প্রদান করার পর তার উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব আসবে না- তা নিশ্চিত করা।
তথ্য বিশ্লেষণ ও রিপোর্টঃ
এইচ আর বিভাগ সরাসরি গোপনীয়তা সাপেক্ষে শ্রমিকদের কাছ থেকে তাদের মতামত সংগ্রহ করবে এবং একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে যাবতীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করবেন।
- প্রত্যেকটি জরীপকালীন ডাটা (হার্ড কপি) ফাইল আকারে সংগ্রহ করা।
- শ্রমিকদের মতামত হুবহু ট্রাকিং লিস্টে এন্ট্রি দেওয়া।
- সমস্যাযুক্ত কর্মএলাকা চিহ্নিত করা, কারন অনুসন্ধান এবং তা লাঘব করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা।
- রিপোর্ট আকারে জিএম (এইচআর, এডমিন এবং কমপ্লায়েন্স) এর কাছে উপস্থাপন করা।
- প্রেজেন্টেশন আকারে সকল বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা।
অভিযোগ প্রদান পদ্ধতিঃ
- প্রয়োজনে প্রাথামিক তদন্ত করা।
- অভিযোগ পত্র তৈরি করা।
- অভিযোগ প্রদান করা।
- অভিযোগ পত্রের জবাব বিবেচনা করা।
- তদন্ত অফিসার মনোনয়ন করা।
- তদন্তের নোটিশ প্রদান করা।
- সঠিক অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা।
- তদন্ত অফিসারের রিপোর্ট করা।
- কর্তৃপক্ষের দ্বারা তদন্ত রিপোর্ট
- শাস্তির আদেশ করা।
- শাস্তির আদেশ জারি করা।
একটি অভিযোগ পত্রে যেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকতে হবেঃ
- কি ঘটেছে, কোথায় ঘটেছে, কোন সময় এবং কোন তারিখে ঘটেছে।
- অভিযুক্ত ব্যক্তি তখন কোথায় ছিলেন, তিনি কি করছিলেন।
- সহজ সরল ভাষায় অভিযোগগুলি লিখতে হবে।
শাস্তির আদেশ জারির জন্য অনুসূত নীতিমালাঃ
- অভিযোগ লিখিত ভাবে করতে হবে।
- অভিযোগের লিখিত কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে এবং তার জবাব দেওয়ার জন্য অন্তত ০৭ দিনের সময় দিতে হবে।
- অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগ দিতে হবে।
- তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টির তদন্ত করতে হবে।
- যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা শাস্তির আদেশ অনুমোদন করতে হবে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ
- হয়রানি ও নির্যাতন সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটলে সবরকম আর্থিক ও মানসিক বিষয় বিবেচনায় আনা।
- যদি কোন শ্রমিক বা কর্মচারী বা কর্মকর্তা এই নীতিমালা লঙ্ঘন করে কর্মস্থলে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তবে কর্তৃপক্ষ তার পদ ও পদবী বিবেচনা না করে তার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
- কোন শ্রমিক তার সহকর্মী বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও নির্যাতন বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করলে এবং তা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন অথবা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও পরিচালনাঃ
এই পলিসির আলোকে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে সুষ্টু কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে করীফ গ্রæপ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করবে। কমিটি গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলতে হবে:
এই পলিসির আলোকে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে সুষ্টু কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে করীফ গ্রæপ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করবে। কমিটি গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলতে হবে:
- কমিটি মালিক ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হবে।
- জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, পদ বা পদবী ইত্যাদি বিবেচনা না করে সবাইকে সমভাবে অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া।
- কমিটিতে শ্রমিকগনের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যার কম হবে না।
- শ্রমিকপক্ষের নির্বাচিত বা মনোনিত কর্মকর্তা বা সদস্য কমিটির মেয়াদকালে তাদের সম্মতি ব্যতিরেকে মালিক বদলি করবে না।
- কমিটি কার্যক্রম পরিচালনাকালে সরল বিশ^াসে সম্পাদিত কাজের জন্য মালিক তাদের বিরূদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন না।
- প্রতি ০৩ মাস অন্তর অন্তর কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সভা বা মিটিং আয়োজন করা (অর্থাৎ একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী মিটিং আয়োজন করতে হবে)। এক্ষেত্রে মনোনিত বা নির্বাচিত সদস্য সচিব প্রতিটি মিটিং আয়োজন ও পরিচালনা করবেন এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলি ( মিটিং এর নোটিশ, মিটিং আয়োজন, মিটিং মানিটস তৈরি ও নোটিশ বোর্ডে টানানো) সম্পাদন করবেন।
- কমিটির মেয়াদ হবে ০২ (দুই) বছর। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরবর্তী ০১ মাসের মধ্যে অংশগ্রহন কমিটির সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে পরবর্তী কমিটি গঠন করা হবে।
হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধমূলক কমিটি গঠন প্রক্রিয়াঃ
- মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মনোনয়ন: ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনিত।
- শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি মনোনয়ন: অংশগ্রহন কমিটি কর্তৃক মনোনিত।
কমিটির কার্যাবলীঃ
- “হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির কার্যপরিধি” তে বর্ণীত।
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালায় বর্ণীত।
নথিভুক্তকরনঃ
- গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হবে। সাধারণভাবে দুই পক্ষের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে এবং গোপনীয়তার সাথে নথিভুক্ত করা হবে।
- উপরোক্ত পলিসিটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক রিভিউ করা হয়।
অর্গানাইজেশন চার্ট
বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
জিএম (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) ঃ
- কোম্পানির প্রশাসনিক প্রধান, মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন।
- হয়রানি ও নির্যাতন সংক্রান্ত প্রাপ্ত সকল রিপোর্ট পর্যবেক্ষন, অনুসন্ধান এবং শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
- “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালা পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন ও বিয়োজনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
ব্যবস্থাপক (এইচ.আর) ঃ
- মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) এর পরামর্শ অনুযায়ী “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়নে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালার বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বছরে অন্তত একবার বাৎসরিক মিটিং এর আয়োজন করা।
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা বিষয়ে কোন ধরনের পরিবর্তন বা পরির্ধনের প্রয়োজন হলে তা মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কে অবহিত করা।
- মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ ও প্রচারনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
- কারো বিরুদ্ধে হয়রানি ও নির্যাতন সংক্রান্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করা। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন, তদন্ত পরিচালনা, তদন্ত রিপোর্ট তৈরি, শাস্তির আদেশ এবং তা অনুমোদনের জন্য মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) এর কাছে প্রেরণ।
ব্যবস্থাপক (এডমিন) ঃ
- “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, পর্যবেক্ষন করবেন এবং মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) তা অবহিত করবেন।
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা বিষয়ে কোন ধরনের পরিবর্তন বা পরির্ধনের প্রয়োজন হলে তা মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কে অবহিত করা।
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে ফ্যাক্টরীর বাহিরের বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। ফ্যাক্টরীর বাহিরে কোন কর্মী কোন ধরনের হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হলে এবং হয়রানির শিকার ব্যক্তি যদি প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তার কার্যকর সমাধান করবেন।
ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স) ঃ
- “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষন করবেন এবং মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) তা অবহিত করবেন।
- মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) এর আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ ও প্রচারনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।(বিশেষ করে প্রশিক্ষণ আয়োজন করার ক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্বে থাকবেন)
- প্রতি বছর অন্তত একবার নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করা এবং মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) নিকট মতামত ও সমস্যা সমূহের সমাধানের জন্য প্রেরণ করা।
- প্রতি ০৩ (তিন) মাস অন্তর হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করা।
অফিসার (এইচ আর) ঃ
- “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালার বাস্তবায়পন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা, তথ্য সংগ্রহ করা এবং মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) তা অবহিত করবেন।
- ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষনিক সমাধান করবেন এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ করবেন।
- অভিযোগের সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সকলকে অবগত করবেন।
- প্রতিষ্ঠনের শ্রমিক-কর্মচারীদের হয়রানী ও ডনর্যাতন মুক্ত গড়তে উৎসাহিত করা এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান ও সভার আয়োজন করবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
- “হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ” সংক্রান্ত নীতিমালার বাস্তবায়পন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা, তথ্য সংগ্রহ করা এবং মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) তা অবহিত করবেন।
- ফ্লোর মনিটরিং করবেন।
- ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থাপক (এইচ আর) কে অবহিত করবেন।
- প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের হয়রানি ও নির্যাতন মুক্ত নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রদান করবেন।
- শ্রমিক-কর্মচারী, মিডলেভেল ব্যবস্থাপক ও প্রশাসনের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করবেন।
- প্রতি দুইমাস অন্তর অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
অংশগ্রহনকারী কমিটির প্রতিনিধিঃ
- হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা প্রচারে মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কে সহযোগিতা করা।
- নিজ কর্মস্থলে অবস্থিত শ্রমিকদের হয়রানি মূলক সমস্যার সমাধানের চেষ্টা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এই নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন।
- ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সমস্যাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবেন।
- সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানগন
- হয়রানি ও নির্যাতন মুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তাগণ কোম্পানীর হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য মহাব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কম্পøায়েন্স) কে সহযোগীতা করবেন।
- সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করবেন যে কারখানায় কোন ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বা কোন কোন অসদাচরনের ঘটনা ঘটলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয় এবং প্রতিকারের দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
পলিসি বাস্তবায়ন রুটিন ও কর্মপদ্ধতি
যোগাযোগ ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি
যোগাযোগ পদ্ধতি
ফিডব্যাক এন্ড কন্ট্রোল
যোগাযোগের রুটিন
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোলঃ
পলিসি বাস্তবায়নে সংগঠনের সদস্যরা সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে কিনা, পলিসি বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও রুটিন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের সকল মাধ্যম সক্রিয় আছে কিনা, পলিসি বাস্তবায়নে অঙ্গিকার, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, রেফারেন্স সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়েছে কিনা প্রভূতি বিষয়ের উপর অভ্যন্তরীন অডিট পরিচালিত হয়। এছাড়াও পলিসি বাস্তবায়নে যোগাযোগ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারন শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনোভাব, তাদের জানার পরিধি এবং প্রায়গিক ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের মাত্রা নিরুপনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পত্রের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
===0===0===0===0
No comments