দূর্নীতি বিরোধী ও ঘুষ লেনদেন বিরোধী নীতিমালা (Anti- Corruption & Anti Bribery Policy)

 দূর্নীতি বিরোধী ও ঘুষ লেনদেন বিরোধী নীতিমালা
(Anti- Corruption & Anti Bribery Policy)


ভূমিকাঃ
শরীফ গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সকল কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে সততা, স্বচ্ছতা, ঘুষ বিরোধী ও দূর্নীতি বিরোধী নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। শরীফ গ্রুপ কর্তপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মী সকলেই এই নীতিমালা প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। কর্মরত সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী/ শ্রমিকগণরা যাতে দুর্নীতি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে শুভ তদারকী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইনের নীতিমালা পরিপন্থি কোন ধরনের কাজ যেমন কোন প্রকার অবৈধ পণ্য ব্যবহার, বিতরণ বা চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করা মোটেই সমর্থন করেনা। কঠোর পদক্ষেপ ও পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে দুর্নীতি, ঘুষ বা উৎকোচ লেনদেন রোধ করা সম্ভব।

দুর্নীতির সংজ্ঞাঃ
অবৈধ (বিধি সম্মত নয়) ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে দুর্নীতি বলে। দুর্নীতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে  বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির উল্লেখ করা হলো। 

ঘুষ/উৎকোচঃ
কোন কাজের বিনিময়ে যখন কোন ব্যক্তি অন্য কারো সাথে আর্থিক লেনদেন করে থাকে তখন তাকে ঘুষ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই চোখ খোলা রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই একজন অন্যজনের সাথে আর্থিক অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে না উঠে।

অনৈতিক সুবিধা গ্রহনঃ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে তার কোন অধস্থন স্টাফ উর্দ্বতন স্টাফের কাছ থেকে তার প্রাপ্য পাওনার চেয়ে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা না পায়। যদি তা পায় তাহলে সকলের ভিতরে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটবে।

উপহার সামগ্রী প্রদানঃ
কর্মক্ষেত্রে কোন কাজের প্রতিদান সরূপ কারো কাছ থেকে কোন প্রকার উপহার গ্রহন কিংবা প্রদান করা সম্পূর্ণ অনৈতিক বা নিয়ম পরিপন্থি। তাই এ রকম পরিস্থিতি যাতে কেউ সৃষ্টি করতে না পারে সেক্ষেত্রে সঠিক তদারকি করতে হবে।

চুরিঃ
যখন কেউ সাময়িক কিংবা প্রতিনিয়ত বিনা অনুমতিতে কারখানা থেকে কোন জিনিস নিয়ে যায় তখন সেটা চুরির পর্যায়ে অর্ন্তভূক্ত হবে। চুরির ব্যাপারে কোম্পানী নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শক্ত হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

সচেতনতাঃ
ভুল এবং অন্যায় সবসময় মানুষের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। যেহেতু মানুষ স্বভাবজাতভাবেই ভুল করে এবং সহজেই অন্যায়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় তাই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উচিৎ সামাজিক/ নৈতিক/ ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর এমনভাবে সৃষ্টি করা যাতে কেউ কখনও দূর্নীতি করতে সাহস না পায় বা আগ্রহী না হয়।

শরীফ গ্রুপ অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও ঘুষ বা উৎকোচ বিরোধী এবং অবৈধ পণ্য চোরাচালান বিরোধী এর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নীতি মেনে চলে।

১. কোম্পানী নীতি অনুযায়ী ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিগন কোন ধরনের উপহার, আপ্যায়ন, ঘুষ গ্রহন সমর্থন করে না।
২. কমপ্লায়েন্স অডিটর বা অন্য কোন অডিটরকে অথবা সরকারী - বেসরকারী কোন পরিদর্শককে কোন রকম ভুল তথ্য বা নথি দেওয়া হয় না।
৩. কোম্পানী সম্পর্কিত কোন কাজের জন্য মূল্য, ভাড়া, অফিস সময়ের পর খাবার বা বিনামূল্যে আহার, ভ্রমনের জন্য টিকিট ইত্যাদি দাবি বা গ্রহণ সমর্থন করে না।
৪. কোম্পানীতে কোন অবস্থায় কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা হয় না।
৫. কোম্পানী সম্পর্কিত কোন বিষয়ে কোম্পানীর বাহিরে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা হয় না।
৬. কোম্পানী সম্পর্কিত যে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন শাস্থি যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৭. কোন সাপ্লায়ার (সরবরাহকারী) এর কাছ থেকে কখনও কোন ধরনের ঘূষ গ্রহন সংক্রান্ত অভিযোগ ও পরামর্শ পাওয়া গেলে আমরা সাথে সাথে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই।
উল্লেখিত নীতিমালা অনুসরণে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এই নীতি মেনে চলতে সহযোগীতা করার জন্য বলা হলো।

কমিটি এবং যোগাযোগ মাধ্যমঃ
০১. নীতিমালা সমূহ নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়।
০২. নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতার জন্য বিভাগীয় প্রধান, সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও শ্রমিক বৃন্দকে অবহিত করা হয়।
০৩. কোন ধরনের দূর্নীতি ও ঘুষ সম্পর্কিত ঘটনা পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ সিনিয়র মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন, মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স) ও কমিটির সদস্যকে অবহিত করার জন্য বলা হলো।

===0===0===0===0===

No comments

Powered by Blogger.