পৃথকীকরণ (Separation)
চতুর্থ অধ্যায়
পৃথকীকরণ
(Separation)
Separation, HR এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী বের হয়ে যাওয়াকে আইনগত পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াকে Separation বলে।
শরীফ গ্রুপ সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই শরীফ গ্রুপে কর্মীর Separation আইনগত হয়ে থাকে।
পৃথকীকরণ (Separation) : কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একজন কর্মী ৮ ভাবে Separation হতে পারে।
১. Dismissal
২. Discharge
৩. Termination
৪. Resignation
৫. Retrenchment
৬. Death
৭. Retirement
৮. Terminated during probationary period
১. Dismissal (বরখাস্ত) ধারা (২৩)
অসদাচরনের দায়ে কোন কর্মীর মালিক কর্তৃক চাকুরীর অবসানকে এক কথায় Dismissal বলে। কোন কর্মীকে Dismissal করতে হলে অবশ্যই ২৪ ধারা অনুসরণ করত হবে। অন্যথায় Dismissal অবৈধ হবে।
ধারা-২৩(৩) বরখাস্তকৃত কোন শ্রমিককে, যদি তার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক পূর্ণ বৎসরের জন্য Basic মজুরী বা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যা অধিক হবে তা প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিক উপ-ধারা২৩(৪)(খ) এর অধীন অসদাচরণের জন্য Dismissal করা হলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাবে না।
২. Discharge (কর্মচ্যুতি) ধারা (২২)
ডিসচার্জ অর্থ শারীরিক বা মনসিক অক্ষমতার কারনে অথবা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারনে মালিক কর্তক কোন শ্রমিকের চাককুরীর অবসানকে জিসচার্জ বলে।
১) কোন শ্রমিককে কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত শারীরিক বা মানুষিক অক্ষমতা ব অব্যহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।
২) ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অনুন্য ১ বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপুরণ হিসেবে ৩০ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
টিকাঃ পূর্ববর্তী আইনের সাথে যোগসূত্রঃ শ্রমিকের কর্মচ্যুতি বা ডিসচার্জ এর বিধান ছিল ১৯৬৫ সনের শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ ) আইনের ১৬ ধারায়। স্থায়ী আদেশ আইনের ১৬ ধারাটি ছিল নিম্নরূপ-
কর্মচ্যুতিঃ শারীরিক ও মানুষিক অসমর্থতা বা অবিচ্ছিন্ন খারাপ স্বাস্থ্য বা অসদাচারণের পর্যায়ভূক্ত নয় এরূপ কারণে একজন শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা যেতে পারে।
শর্ত হচ্ছে এক জন শ্রমিককে অনুন্য এক টানা ১ বছর চাকুরী সমাপ্তির পর এরূপ কর্মচ্যুত করা হলে মালিক কর্তৃক প্রতি পূর্ন বছর চাকুরীর জন্য বা ৬ মাসের অতিরিক্ত যে কোন অংশের জন্য ৩০ দিনের মজুরী হারে ক্ষতিপূরণ অথবা গ্রাচুয়িটি যদি থাকে এর মধ্যে যেটি বেশি তা প্রদান করতে হবে।
লাগাতার ভগ্নস্বাস্থ্য- ডিসচার্জ করা মালিকের অধিকারঃ ধার্য হয়েছে মালিক যথার্থভাবেই শ্রমিকের অসুস্থ্যতার প্রকৃতি স্থায়ীত্ব এবং তার কাজের প্রকৃতির সঙ্গে এ সম্পর্কে যোগ করেছেন এবং যথার্থভাবে কাজে তার ভবিষ্যৎ উপযোগীতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালিকের এই ক্ষমতাকে ব্যাখ্যামূলক শর্তদ্বারা ঘিরে দেওয়া হলে অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ অসম্ভব হয়ে পরবে।
শারীরিক অক্ষমতাঃ একজন শ্রমিক বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ২১১ দিন ছুটি ভোগ করার পর একই রকম অসুস্থ্যতার কারণে আরও ১ মাস ছুটির আবেদন করেন। ধার্য হয়েছে এরূপ অবস্থায়ও মালিক কর্তৃক তাকে শারীরিক ভাবে সক্ষম বিবেচনা করিতে হইবে এমন বলা যাবেনা।
৩. Termination (অবসায়ন) ধারা (২৬)
কোন শ্রমিককে অব্যাহতির / বরখাস্ত / অবসায়নের ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে কোন ধরনের আইনহত সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে। তৎক্ষণাৎ অবসায়নের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সকল সুবিধা দেওয়া হয় না বলে আইনগত জটিলতার সম্ভাবনা অনেক বেশী। যে কোন কারনে শ্রমিককে তার চাকুরী হইতে অবসায়ন করা যেতে পারে। তবে সাবধানতার বিষয় হলো যে, যদি শ্রমিক কোন Trade Union এর সদস্য হয়ে থাকে তাহলে তাকে তার চাকুরী হইতে অবসায়ন করা যাইবে না। কারন যে কোন সময় সে Trade Union হাজির হয়ে অনুযোগপত্র প্রেরণ করতে পারে এই বলে যে তাকে Trade Union এর সদস্য হতে বারণ করা হয়েছে। তাতে করে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৯৫ ধারা অনুযায়ী আইনগত জটিলতার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই অবসায়ন করার সময় বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে যে শ্রমিক স্থায়ী / অস্থায়ী / ষ্টাফ /প্রবিশনার এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, অনেক সময় শ্রমিককে জোর করে টার্মিনেট করা হয় অথবা তার বিরুদ্ধে এজাহার / জিডি’র ভয় দেখিয়ে তাকে চাকুরী হইতে অবসায়ন করা হয়। তাই মনে রাখতে হবে যে, জোর করা কিন্তু ফৌজদারী আইনের ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জোর করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
কোন (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী) স্থায়ী শ্রমিককে অবশ্যই ০৪ (চার) মাস বা ১২০ দিনের নোটিশ দিতে হবে অথবা (নাটিশ পে দেওয়ার কথা আইনে উল্লেখ আছে। দীর্ঘ দিনের চাকুরী যে সমস্ত শ্রমিকের তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য উক্ত নোটিশ খুবই লক্ষ্যনীয়। কোনভাবেই এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। অন্যান্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে ০৪ (চার) মাসের নোটিশ বা তার সম পরিমাণ টাকা দিয়ে টার্মিনেশন করা যেতে পারে।
তবে অব্যহতির ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা লক্ষ্যনীয়:-
১. কোন শ্রমিক / ষ্টাফের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ০১(এক) মাস আগের তারিখ উল্লেখ করে ইস্তেফা পত্র নিতে হবে।
২. কোন শ্রমিক / ষ্টাফকে ইস্তেফা পত্র গ্রহন পূর্বক তাকে অব্যহতি পত্র দিতে হবে এবং এক কপি রিসিভ করে ব্যাক্তিগত নথির সাথে রাখতে হবে।
৩. তার সকল পাওনাদি পরিশোধ করে চ‚ড়ান্ত নিষ্পত্তি পত্র ভাউচার সিট এ সহি রাখতে হবে।
৪. অবশ্যই ভাউচার সীট এ তাদের সকল পাওনাদি উল্লেখপূর্বক তাদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
৫. অতিরিক্ত একটি করে চ‚ড়ান্ত নিষ্পত্তি পত্রও ভাউচার সীটে সহি রাখতে হবে।
৬. ষ্টাফদের ক্ষেত্রে তাদের সেকশনার ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।
৭. সর্বশেষে তাদের পাওনাদি গ্রহন প্রসংগে / আইনানুগ পাওনাদি বুঝিয়া নেওয়া প্রসঙ্গে অঙ্গীকার নামা নিতে হবে।
তাছাড়া, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী -
১। এই আইনের অধ্যায়ে বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-
ক। মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ১২০ (একশত) দিনের,
খ। অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন।
২। এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক –
ক। মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, (৩০) ত্রিশ দিনের,
খ। অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন, যদি না এই অবসান যে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে উহা সম্পুর্ন হওয়া, বন্ধ হওয়া, বিলুপ্ত হওয়া বা পরিত্যাক্ত হওয়ার কারনে হয়।
৩। যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ ধারা(১) অথবা (২) এর অধীনে, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন।
৪। যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধিন কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরী অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ন বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরী, অথবা গ্র্যাচুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপুরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।
বাংলায় নমুনা
বিষয়ঃ চাকুরী অবসানের আদেশ।
জনাব,
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৬ ধারায় আপনার চাকুরী অবসান করা হলো (Termination of Service) । এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকরী হবে।
নোটিশের পরিবর্তে ১২০ দিনের মজুরী এবং উক্ত আইনে বর্ণিত হারে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য ভাতাদি আপনাকে দেওয়া হবে।
এই চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি আমাদের হেড অফিসের হিসাব বিভাগ থেকে আপনার পাওনা টাকা-পয়সা বুঝে নিতে পারেন।
আপনার বিশ্বস্ত
ব্যবস্থাপক
এডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স
শরীফ গ্রুপ
৪. Resign (ইস্তেফা) ধারা (২৭)
সাধারণত: কোন স্থায়ী / অস্থায়ী শ্রমিক যেদিন ইস্তেফা দেয় তার পর দিন থেকেই আর কাজে হাজিরা দেয়না। স্থায়ী শ্রমিকের প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ইস্তেফার ক্ষেত্রে বহু ধরনের নিয়ম দেখা যায়। যেমন যেদিন ইস্তেফা দেওয়া দরকার বা নেওয়া দরকার তা সঠিক সময়ে নেওয়া হয় না বা নেওয়ার পর ইস্তেফাপত্রে কোন ধরনের তারিখ উল্লেখ করা হয় না। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইস্তেফা কার্যকরের তারিখ উল্লেখ করা প্রয়োজন। আর যদি কোন শ্রমিক তৎক্ষনাৎ ইস্তেফা দিতে চায় তাহলে এক মাস আগে ইস্তেফা পত্র গ্রহন করা হয়েছে বলে তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
ইস্তেফার পর একাধারে ০৫ (পাঁচ) দিন যদি নোটিশ মেয়াদের জন্য কাজ না করে, তাহলে তার পরপরই তাকে ইস্তেফা প্রসংগে নোটিশ ইস্যু করতে হবে-এক্ষেএে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর কোন ধারা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। এই নোটিশের কোন আইনগত নির্দেশনা নেই। তবে, এই নোটিশ জারী করার ফলে ইস্তেফাদানকারী মানসিক চাপে থাকে এবং পরবর্তীতে সে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে সাহস পায় না। মনে রাখতে হবে যে- এটা কোন কোন কোম্পানীর একটা মৌখিক নীতিমালা মাত্র, আইনগত কোন বিধি নয়। তবে, ১০(দশ) দিন বা তার অধিক সময় অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৭ ধারা অনুযায়ী।
যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক তাহার চাকুরী হইতে ইস্তেফা (রিজাইন) দিতে চাহে তাহলে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইস্তেফা (রিজাইন) দিতে পারিবে যাহা নিম্নে দেওয়া হইল:-
১) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৭(১) ধারা অনুযায়ী - কোন স্থায়ী শ্রমিক ইস্তেফা দিতে চাহিলে মালিককে ৬০ (ষাট) দিন পূর্বে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তেফা (জবংরমহ) দিতে পারিবেন।
২) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৭(৩) ধারা অনুযায়ী - যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তেফা (জবংরমহ) দিতে চাইবে সে ক্ষেত্রে নোটিশের পরিবর্তে ৬০ ( ষাট) দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমান অর্থ মালিককে প্রদান করিতে হইবে।
৩) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৭(৪) ধারা অনুযায়ী - যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তেফা দেন সে ক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পুর্ন বৎসরের চাকুরীর জন্য-
ক) যদি তিনি ০৫(পাঁচ) বৎসর বা তদুর্ধ, কিন্তু ১০ (দশ) বৎসরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মূল মজুরী পাইবে;
খ) তিনি যদি ১০ (দশ) বৎসর তদুর্ধ সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মুল মুজুরী পাইবে; অথবা গ্র্যাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
৪) অন্যথায়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে Recovery Notice দিতে হবে। ইস্তেফার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নোটিশ ও পদ্ধতি বরখাস্তের মতই। তাই বরখাস্তের পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হবে।
বাংলায় ইস্তেফার নমুনা পত্র
তাং.................................ইং
বরাবর,
.................................
বিষয়ঃ চাকুরী হইতে অব্যহতি/ইস্তেফার জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি.....................................পিতা.............................আইডি.......................শরীফ গ্রুপের ............................................লিঃ এ ............................................. হিসাবে কর্মরত আছি। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার পক্ষে চাকুরী করা সম্ভব নয়, বিধায় আমি..................................ইং তারিখ হইতে চাকুরী থেকে ইস্তেফা দিতে ইচ্ছুক। তাই কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ইস্তেফা জমা দিলাম।
অতএব, মহোদয়ের নিকট প্রার্থনা এই যেম আমার ইস্তেফা প্রত্র গ্রহন করিয়া বাধিত করিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
নিবেদক,
-----------------
বাংলায় অব্যহতি পত্র গ্রহনের নমুনা
রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে
প্রতি, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
জনাব ------------------ নাম ------------------ নাম -----------------
পদবী ------------------ পিতা------------------. পিতা-----------------
আইডি ----------------- গ্রাম------------------ গ্রাম-----------------.
সেকশন ------------- পো:------------------ পো:-----------------
থানা---------জেলা---------- থানা---------জেলা----------
বিষয় : চাকুরী হইতে অব্যহতি পত্র গ্রহন প্রসঙ্গে।
জনাব,
আপনার......................তারিখের অব্যহতি পত্রটি আপনার পরিবারিক দিক বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে এবং যার প্রেক্ষিতে আপনাকে চাকুরী হইতে..........................ইং তারিখ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হইল।
অতএব আপনাকে ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে আপনার যাবতীয় পাওনাদী বুঝিয়া নেওয়ার জন্য বলা হইল।
--------------------------------
জেনারেল ম্যানেজার-এইচ আর এম
অনুলিপিঃ
১। মাননীয় ডাইরেক্টর সি.ও.ও
২। চিফ এডভাইজার টু-এম.ডি
৩। ডাইরেক্টর এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স
৪। ডাইরেক্টর এডমিন
৫। জেনারেল ম্যানেজার- এডমিন
৬। জিএম একাউন্টস্
বিতরণঃ
১। ম্যানেজার, এমপ্লয়িজ রিলেশন
২। ব্যক্তিগত নথি
৩। নোটিশ বোর্ড
বাংলায় Recovery Notice নমুনা
রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে
প্রতি, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
জনাব ------------------ নাম ------------------ নাম -----------------
পদবী ------------------ পিতা------------------. পিতা-----------------
আইডি ----------------- গ্রাম------------------ গ্রাম-----------------.
সেকশন ------------- পো:------------------ পো:-----------------
থানা---------জেলা---------- থানা---------জেলা----------
বিষয় : ইস্তেফা প্রসঙ্গে।
আপনি গত .......................ইং তারিখে ইস্তেফাপত্র জমা দিয়ে তার পর দিন থেকে আপনার কর্তব্য কাজ থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০০৬ এর ২৭ ধারা অনুয়ায়ী এবং আপনার চাকুরীর নিয়োগপত্রের ................নং শর্ত অনুয়ায়ী চাকুরী হতে ইস্তেফা দিতে হলে কর্তৃপক্ষকে ...................দিনের নোটিশ দিতে হবে অথবা তার সম পরিমান টাকা কর্র্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। আপনি উক্ত শর্তের লংঘন করতঃ কোম্পানী আপনার কাছ থেকে আপনার সকল আইনানুগ পাওনাদী বাদে ....................টাকা পাইবে।
অতএব, আপনাকে অত্র পত্র প্রাপ্তির ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে উপরোক্ত পাওনাদি পরিশোধ করে ছাড়পত্র গ্রহন করার জন্য বলা হইল।অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
শরীফ গ্রপের পক্ষে,
--------------------------------
জেনারেল ম্যানেজার-এইচ আর এম
অনুলিপিঃ
১। মাননীয় ডাইরেক্টর সি.ও.ও
২। চিফ এডভাইজার টু-এম.ডি
৩। ডাইরেক্টর- এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স
৪। ডাইরেক্টর এডমিন
৫। জেনারেল ম্যানেজার- এডমিন
বিতরণঃ
১। ম্যানেজার, এমপ্লয়িজ রিলেশন
২। ব্যক্তিগত নথি
৩। নোটিশ বোর্ড
৫. Retrenchment (ছাঁটাই) ধারা (২০)
ছাঁটাই প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারনে শ্রমিকের চাকুরির অবসানকে ছাঁটাই বলা হয়। কোন প্রতিষ্ঠনে সার্বিক অথবা বিশেষ শ্রেনীতে প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে শ্রমিক চেয়ে শ্রমিক বেশী হয়ে গেলে মালিক তার প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্্রমিক কাজে রেখে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করতে পারে । তাই শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি যদি কোন বিশেষ শ্রেনীর শ্রমিকের অন্তরভর্‚ক্ত না হন। বা তার এবং মালিকের মধ্যে এ ব্যপারে কোন চুক্তি না থাকে,তবে মালিক লিখিত কারন রেকর্ড পূর্বক অন্য কোন শ্রমিককে ছাঁটাই না করলে সাধারনত সে শ্রেনীতে সর্বশেষ নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করতে পারে ।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২০ ধারা অনুযায়ী
১)কোন শ্রমিককে পয়োজনের অতিরিক্ততার কারনে কোন প্রতিষ্টান হতে ছাঁটাই করা যাইবে ।
২) কোন শ্রমিক যদি কোন মালিকের অধীনে অবিছিন্নভাবে অন্যুন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিক-
(ক) তাহার ছাঁটাইয়ের কারন উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে।
খ) নোটিশের এক কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্মকর্তাও নিকট প্রেরন করিতে হইবে এবং আরেক কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধিকে যদি থাকে দিতে হইবে।
গ) এবং তাহাকে ক্ষতি পূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ৩০ দিনের মজুরী বা গ্র্যাচুইটি যদি প্রদেয় হয় যাহা অধিক হইবে প্রদান করিতে হইবে।
ঘ) উপধারা ০২ এ যাহাই থাকুক না কেন ধারা ১৬ এর (৭) অধিনে ছাঁটাই এর ক্ষেত্রে উপধারা ২(ক) এর উল্লেখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে উপধারা ২(গ) মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপুরণ বা গ্র্যাচুইটি অতিরিক্ত হিসাবে আরো ১৫ দিনের মজুরী দিতে হইবে।
ঙ। যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রমিককে ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে এতোদসংক্রান্ত কোন চুক্তি অবর্তমানে মালিক উক্ত শ্রেনির শ্রমিকগনের মধ্যে সর্বশেষ নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করিবেন।
ছাঁটাই করতে হলে -
ক। ছাঁটাই করতে হলে একমাস আগে শ্রমিককে লিখিত নোটিশ দিয়ে অথবা নোটিশ মেয়াদের পরিবর্তে একমাসের সমপরিমান টাকা দিয়ে তৎক্ষণাৎ ছাঁটাই কার্যকর করা যেতে পারে।
খ) নোটিশের এক কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্মকর্তাও নিকট প্রেরন করিতে হইবে এবং আরেক কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধিকে যদি থাকে দিতে হইবে।
গ। এবং তাহাকে ক্ষতি পূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ৩০ দিনের মজুরী বা গ্র্যাচুইটি যদি প্রদেয় হয় যাহা অধিক হইবে প্রদান করিতে হইবে।
ঘ। ছাঁটাই করার সময় যাকে ছাঁটাই করা হবে তাহার চাকুরীর দৈর্ঘ্য অনুসারে সবচেয়ে কম সময়ের চাকুরী যার তাকে আগে ছাঁটাই করতে হবে অর্থাৎ যে সবার পরে নিয়োগ লাভ করেছে তাকে সবার আগে বিদায় করতে হবে এবং যে সবার আগে চাকুরীতে নিয়োগ লাভ করেছে তাকে সবার পরে বিদায় করতে হবে। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের চাকুরীরর দৈঘ্য অনুসারে রেজিষ্টার সংগ্রহ করতে হবে।
চ। যদি ছাঁটাই করার এক বৎসরের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ করার প্রয়োজন হয় তাহলে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে যে শ্রমিককে সবার পরে বিদায় করা হয়েছে তাকে আগে নিয়োগ দিতে হবে এবং যাকে আগে বিদায় করা হয়েছে তাকে পরে নিয়োগ দিতে হবে।
বাংলায় ছাঁটাইয়েরন নমুনা পত্র
রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে
প্রতি, বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা
জনাব ------------------ নাম ------------------ নাম -----------------
পদবী ------------------ পিতা------------------. পিতা-----------------
আইডি ----------------- গ্রাম------------------ গ্রাম-----------------.
সেকশন ------------- পো:------------------ পো:-----------------
থানা---------জেলা---------- থানা---------জেলা----------
বিষয় : চাকুরী হইতে ছাঁটাই প্রসঙ্গে।
কোম্পানীর দৈনন্দিন উৎপাদন কার্যক্রমে পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিকভাবে যে পরিমান শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল তা বর্তমান চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় কোম্পানী অতিরিক্ত শ্রমিকের ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এবং বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকতে সমস্যা হচ্ছে বিধায় কর্তৃপক্ষ আপনাকে শ্রম আইন ২০০৬ এর ২০ ধারা অনুযায়ী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন, যা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
অতএব, আপনার আইনানুগ পাওনাদি এই পত্র প্রাপ্তির পর হইতে পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানীর হিসাব বিভাগ থেকে বুঝিয়া নেওয়ার জন্য বলা হইল।
জিএম এডমিন
অনুলিপিঃ
১। মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক
২। মাননীয় ডাইরেক্টর এন্ড সিওও
৩। জিএম- এইচআরএম
৪। জিএম- হিসাব বিভাগ
৫। প্রধান কারখানা পরিদর্শক
৬. Death (মৃত্যু) ধারা (১৯)
মৃত্যজনিত কারণে একজন কর্মীর Separation হতে পারে এক্ষেত্রে থারা ১৯ অনুযায়ী উক্ত শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে অন্তঃত: ৩ বছরের অধিকাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্য বরণ করলে, সে ক্ষেত্রে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তার প্রত্যেক পূর্ণ বছরের জন্য বা ঊহার ৬ মাস অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ দিনের মজুরী অথবা গ্রাইচ্যুটি, যাহা বেশী হবে, প্রদান করবেন এবং এই অর্থ মৃত্য শ্রমিক চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হতেন তার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, মৃত শ্রমিক যদি প্রতিষ্ঠানের কোন বাধ্যতামূলক বীমা স্কীমের আওতাভূক্ত হন অথবা যদি তাহার ক্ষেত্রে দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হয় তাহলে যা অধিক হবে তা উক্ত শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রদেয় হবে।
সুবিধা পাওয়ার জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা পোষ্যের জরুরী করণীয় ঃ-
১। মৃত্য ব্যক্তির Death Certificate জমা দিতে হবে।
২। চেয়ারম্যান বা কমিশনারের সনদ পত্র জমা দিতে হবে।
৩। ওয়ারেস কাম Certificate জমা দিতে হবে।
বলাবাহুল্য যে, উক্ত সনদ পত্র যথাসম্ভব দ্রুত HR এ জমা দিতে হবে। কোন ক্রমেই যেন ১ মাসের বেশী দেরী না হয়।
৭. Retirement # ধারা # (২৮)
শ্রমআইন ২০০৬ অনুযায়ী ৫৭ বছর পূর্ণকৃত কোন কর্মীর স্বাভাবিক চাকুরীর অবসান জনিত ঘটনাকে এক কথায় Retirement বলে।
আরা-২৮(২) বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সার্ভিস বইয়ে লিপি বদ্ধ জন্ম তারিখ উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে।
আরা-২৮(৩) প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চাকুরীর বিধান অনুযায়ী অবসর শ্রমিকের প্রাপ্য কোন পাওনায়াদি পরিশোধ করিতে হইব।
আরা-২৮(৪) অবসর গ্রহণ কোন শ্রমিকের কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত মনে করিলে পরবর্তিতে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দিতে পারিবেন।
যে দিন শ্রমিক চাকুরী থেকে অবসর নিবে তার অন্তঃত ৩ মাস আগে একটি পত্র দিয়ে তার অবসর ব্যাপারে জানিয়ে দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিম্নরূপ একটি পত্র তাকে দেওয়া যেতে পারে।
বিষয়ঃ অবসর গ্রহণ প্রসঙ্গে।
জনাব,
আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার ব্যক্তিগত নথি থেকে দেখা যে, আপনার জন্ম তারিখ ছিল . . . . .. . . . . . . . অর্থাৎ আপনি ৫৭ বছর পূর্ণ করবেন আগামী . . . .. . .. . . .. তারিখে। এমতাব্যবস্থায় আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি কোম্পাানীর চাকুরী থেকে . . . .. . . .তারিখ অবসর নিবেন। সুতরাং এ বিষয়ে আপনাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার বিশ্বস্থ
ব্যবস্থাপক- এডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স
৪৫ দিন পর নিম্নরূপ আরেকটি চিঠি দিতে হবে।
বিষয়ঃ অবসরের আদেশ।
জনাব,
গত . . . .. . . . . . তারিখ আপনাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, আপনি ৫৭ বছর পূর্ণ করবেন আগামী . . . .. . তারিখ এবং তার পরদিন থেকেই অবসর গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে আপানাকে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত তারিখ থেকে আপনি অবসরে যাবেন এবং আপনার পাওনা টাকা পয়সা পাওয়ার ব্যাপারে আপনি আমাদের ব্যবস্থাপক (হিসাব) এর সাথে অবসর নেওয়ার ১ সপ্তাহের পর যোগাযোগ করবেন। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আমরা আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
আপনার বিশ্বস্থ
ব্যবস্থাপক- এডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স
শরীফ গ্রুপ
৮. Terminated during probationary period শিক্ষানবিশীকাল অবসানঃ শিক্ষানবিশী কাল সন্তোষজনক না হলে কর্মীর শিক্ষানবিশী কালের অবসান ঘটনা যাবে। Probation কালে যদি দেখা যায় যে শ্রমিকের কাজ সন্তোষজনক নয় তবে কর্তৃপক্ষ উক্ত শ্রমিকে Probation কালের মধ্যেই তার চাকুরীর অবসান ঘটাতে পারে। এ জন্য কোন অভিযোগ পত্র, তদন্ত প্রভৃতির প্রয়োজন হবে না ।
শিক্ষানবিশী কাল অবসানের ব্যাপারে অপর পাতায় চাকুরী স্থায়ী না করা প্রসঙ্গে পত্রটি জারি করলেই যথেষ্ট হবে।
বাংলায় চিঠির নমুনা
তারিখঃ . . . . . . . .ইং
প্রাপক,
নাম -
পদবী -
কার্ড নং -
বিভাগ -
বিষয়ঃ শিক্ষানবিস কাল দীর্ঘায়িত না করা প্রসঙ্গে ।
জনাব,
আপনার কাজের প্রতি কর্তৃপক্ষ মোটেও সন্তোষজনক নহে বিধায় কর্তৃপক্ষ আপনার শিক্ষানবিশকাল দীর্ঘায়ীত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অতএব অদ্য হইতে আপনার শিক্ষানবিশী চাকুরী অবসান করা হইল ।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্য্যকরী হইবে। আপনার বকেয়া পাওনাদী (যদি থাকে) আগামী . . . . . ইং তারিখ হিসাব শাখা হইতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হইল ।
উপ-মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
১। জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন)
২। ডি.জি.এম. (এডমিন এন্ডএইচ.আর )
৩। ব্যক্তিগত কপি
৪। অফিস কপি
৫। নোটিশ বোর্ড
===0===0===0===
No comments