বেতন ও মজুরী ব্যবস্থাপনা (ধারা-১২১-১৪০)



পঞ্চম অধ্যায়

বেতন ও মজুরী ব্যবস্থাপনা (ধারা-১২১-১৪০)

শরীফ গ্রুপ মজুরী নীতিতে বিশ্বাসী। পলমল মজুরী পরিশোধে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ সাথে সাথে শরীফ গ্রুপ মজুরী পরিশোষে আপোষহীন। 
শরীফ গ্রুপ এর অত্র কোম্পানী বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত নীতিমালা (Payment of wages Act-1963 and Bangladesh Gazette, Expanded October 11th, 2006) অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরন করে থাকে।
 
বেতন ও মজুরী নীতিমালা
মুজুরী
মালিক কর্তৃক নিযুক্ত নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি দ্বারা সকল শ্রমিকের মুজুরী পরিশোধ করা হয়।
কারখানায় নিযুক্ত সকল শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মীদের বেতন নিয়মিতভাবে প্রতি মাসের সাত (০৭) কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। 
যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী শ্রমিক কর্তৃক সেচ্ছায় অবসর গ্রহন অথবা মালিক কর্তৃক ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারন, বরখাস্ত বা অন্য কোন কারণে অবসান করা হয় তাহলে উক্ত শ্রমিককে তার সকল মুজুরী চাকুরী অবসানের তারিখ থেকে পরবর্তী  সাত (০৭) কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হয়।
কাজ চলাকালীন সময়ে সকল মুজুরী পরিশোধ করা হয়।
আইন অনুযায়ী (সরকার ঘোষিত নিম্নতম মুজুরী অধ্যাদেশ ) নিম্নতম মুজুরী হার নির্ধারন করা হয় এবং গ্রেড অনুযায়ী সকল শ্রমিকের মুজুরী নির্ধারন ও প্রদান করা হয়।
মোট বেতন আইনানুযায়ী বিভাজন পূর্বক নির্ধারন ও পরিশোধ করা হয়।
মোট বেতন = মূল বেতন + বাড়ী ভাড়া (মূল বেতনের ৫০%) + খাদ্য ভাতা (নির্ধারিত ৯০০ টাকা) + চিকিৎসা ভাতা (নির্ধারিত ৬০০ টাকা) + যাতায়াত ভাতা (নির্ধারিত ৩৫০ টাকা)

অতিরিক্ত কাজঃ
দৈনিক আট (০৮) ঘন্টার বেশী কাজ করলে উহাকে অতিরিক্ত কাজ হিসাবে গন্য করা হয়।
অতিরিক্ত কাজ প্রতিদিন দুই (০২) ঘন্টা হারে সপ্তাহে বার (১২) ঘন্টার বেশী হবে না। 
অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য মূল মুজুরীর দ্বিগুন হারে ভাতা প্রদান করা হয়।
মুজুরী ও অতিরিক্ত কর্মসময়ের ভাতা একই সময়ে প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত কার্যসময়ের ভাতা নিম্নোক্ত ভাবে হিসাব বা গণনা করা হয়।
        অতিরিক্ত কাজের মুজুরী = (মূল মুজুরী/২০৮) x ২) x অতিরিক্ত কাজের সময়।
 
উৎসব বোনাসঃ
প্রত্যেক শ্রমিক ও কর্মীকে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পর উৎসব বোনাস হিসাবে বছরে দুইবার বোনাস প্রদান করা হয়।
  
হাজিরা বোনাস নীতিমালা
শরীফ গ্রুপ এর অন্তর্ভূক্ত কারখানা গুলোতে এ হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়। সময়ানুবর্তিতা এবং নিয়মনীতি সঠিক ভাবে মান্য করার লক্ষে এই বোনাস প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে যে সকল শ্রমিক নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে কারখানায় উপস্থিত হবেন সেই সকল শ্রমিককেই এই বোনাস প্রদান করা হবে। মাসিক বেতনের সাথে এই বোনাস প্রদান করা হবে।

শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বোনাসের হারঃ
০১। ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত ৬০০ টাকা।
০২। ৭ম গ্রেড                 ৬০০ টাকা।

কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বোনাসের হারঃ
০১। অফিস পিয়ন ৬০০ টাকা।
০২। ক্লিনার (সুইপার) ৬০০ টাকা।

মাসিক বেতনের সীট এ এই বোনাসের বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকবে।

অযোগ্যতাঃ
নিন্ম বর্ণিত কারনে একজন শ্রমিক এই বোনাস প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হতে পারে।
০১। মাসে ০৩ দিনের বেশি বিলম্ব করে কর্মস্থলে উপস্থিত হলে।
০২। কাজে অনুপস্থিত থাকলে।
০৩। কোন ছুটি কাটালে।
০৪। যে কোন দিন ০১ ঘন্টার বেশি সময় বিলম্ব করে কর্মস্থলে আসলে।

হিসাব বিবরণঃ
প্রক্সিমিটি কার্ডের বিবরণ হতে এই বোনাসের হিসাব চূড়ান্ত করা হবে।

উদ্ধুত করণঃ
কারখানার ওয়েলফেয়ার/কাউন্সিলরগন নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে প্রেষনা (Motivation) প্রদান করেন।
 
Deduction Policy
বিধানাবলী সূচারূভাবে অনুসরন করার জন্য অত্র গ্রæপের সকল প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান সমূহ বাধ্য থাকিবে। অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক কর্মচারীর আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্নিত বিষয় গুলোকে বিবেচনা করা হবে;-
শরীফ গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠান সমূহ দেশের প্রচলিত শ্রম আইনে কোন শ্রমিকের নিকট হতে যে কোন ধরনের আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে আইনের দ্বারা নির্দেশিত।

১। কর্তব্য অনুপস্থিতির জন্য কর্তনঃ
ক) নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও যদি কোন শ্রমিক অনুনমোদিত ভাবে উক্ত সময়ে অনুপস্থিত  থাকে তাহলে  ঐ সময়ের মুজুরী কর্তন করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর চেয়ে বেশি হবে না।

০২. ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য কর্তনঃ
ক) কোন শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলাতির কারন ঘটিত মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্টের জন্য উক্ত শ্রমিকের উপর আর্থিক কর্তন আরোপ করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তন মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্টি অপেক্ষা বেশি হবে না।
গ) ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরন করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে তার বিরুদ্ধে কর্তন আরোপ করা হবে না।

০৩. কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তনঃ
কোম্পানীর কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী যদি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কোন অগ্রীম কর্জ গ্রহন করে থাকে তবে উক্ত অগ্রীম বা কর্জ সমন্বয়ের জন্য কিস্তি ভিত্তিক বা এক কালীন (যে শর্তে শ্রমিক অগ্রিম গ্রহন করে থাকে) ভিত্তিতে কর্তন করা যাবে।

০৪. ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত জরিমানাঃ
জরিমানার ক্ষেত্রে নিম্নবর্নিত শর্তগুলো  মেনে চলা হবে-
ক) কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশে অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা হবে না।
খ) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা আরোপের ষাট দিন অতিক্রম হওয়ার পর তাহা আদায় করা হবে না।
গ) কোন জরিমানা যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ তারিখেই উহা আরেপিত হয়েছে বলে গন্য  হবে।
ঘ) সকল জরিমানা এবং এর আদায় বিধিদ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগনের কল্যানমূলক কাজে ব্যবহার হবে।

০৫. আয়কর বাবদ কর্তনঃ
শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর (যদি প্রযোজ্য হয়) বাবদ কর্তন করা যাবে।

০৬. আদালতের আদেশ কর্তনঃ
কোন আদালতের আদেশে অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে কর্তন।

০৭. হাজিরা বোনাসঃ
যদি কোন শ্রমিক শর্তানুযায়ী কোন মাসে তিন দিনের অধিক কর্মদিবসে বিলম্বে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করে তাহলে উক্ত শ্রমিক উক্ত মাসের হাজিরা বোনাসের অধিকারী হবেন না। এ ছাড়া কোন ধরনের অনুপস্থিতির কারনেও তার হাজিরা বোনাস কর্তন করা যাবে।

০৮. প্রক্সিমিটি কার্ড সংক্রান্ত কর্তনঃ
নতুন যোগদান কৃত শ্রমিকদের প্রক্সিমিটি কার্ড ইস্যু বাবদ শ্রমিকদের নিকট  থেকে ৫০ টাকা হারে গ্রহন করা হবে তবে শর্ত থাকে যে উক্ত শ্রমিকের চাকুরী ত্যাগের সময় গৃহীত ৫০ টাকা তাকে ফেরত প্রদান করা হবে। উক্তরূপ ফেরত প্রদানের হিসাব নির্দিষ্ট রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করা হবে। এবং শ্রমিক এর স্বাক্ষর গ্রহন করা হবে।                                                                                                                                                                                                                                                             
কর্তন / জরিমানা
প্রথমতঃ কোন শ্রমিককে জরিমানা না করাই ভালো। কারন হলো যদি শ্রমিককে জরিমানা করা হয় তাহলে সেই জমাকৃত টাকা কোম্পানীর কোন কাজে লাগানো যায় না। শ্রমিকের জরিমানাকৃত টাকার জন্য আলাদা ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করতে হয় এবং সে কমিটি সমস্ত টাকা নিয়ন্ত্র্রন করে। আর এই টাকা সব সময় শ্রমিকের কল্যানের স্বার্থে ব্যয় করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এ বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৫ অনুযায়ী জরিমানা
১. কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা যাইবে না।
২. পনের বৎসরের কম বয়স্ক কোন শ্রমিকের উপর জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।
৩. কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা উহা আরোপের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর আদায় করা যাইবে না।
৪. কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হইয়াছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখে আরোপিত হইয়াছে বলিয়া গন্য হইবে।
৫. সকল জরিমানা এবং উহার আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যাইবে।

১২৫ ধারা অনুযায়ী মজুরী হইতে কর্তনযোগ্য বিষয়াদিঃ
১। বাংলাদেশ শ্রম আইন দ্বারা অনুমোদিত ক্ষেত্র ব্যতিত অন্য কোন ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কিছুই কর্তন করা যাইবে না।
২। কেবলমাত্র এই আইনের অধীনে বিধান অনুযায়ী কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে করা যাইবে, এবং উপরোক্ত কর্তন কেবলমাত্র নি¤œলিখিত প্রকারের হইবে, যথা:-
ক. ২৫ ধারা অনুযায়ী আরোপিত জরিমানা;
খ. কর্তব্য কাজে অনুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন;
গ. কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামাল এর ক্ষতি বা লোকশান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরূপ ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তাহার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ী হয়;
ঘ. মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসস্থানের জন্য কর্তন।
ঙ। চাকুরীর প্রয়োজনে ব্যবহৃত কাচামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যতিত, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত সুযোগ সুবিধা ও সেবার জন্য কর্তন।
চ. কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন;
ছ. শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর কর্তন;
জ. কোন আদালতের আদেশে কর্তন, অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষেও আদেশে কর্তন;
ঝ. কোন ভবিষ্য তহবিলের জন চাঁদা কর্তন অথবা ইহা হইতে প্রদত্ত অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন;
ঞ. সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সমবায় সমিতিকে প্রদানের জন্য অথবা বাংলাদেশ ডাক বিভাগ অথবা সরকারী কোন বীমা কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিত কোন বীমা স্কীমকে প্রদানের জন্য কর্তন;
ট. শ্রমিকগনের অথবা তাহাদের পরিবারের সদস্যগনের কল্যানের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে মালিক কর্তৃক গঠিত কোন তহবিল অথবা তৎকর্তৃক প্রনীত কোন স্কীমের জন্য শ্রমিকের লিখিত সম্মতিতে চাঁদা কর্তন এবং 
ঠ. চেক অফ পদ্ধতিতে সিবিএ ইউনিয়নের চাদা কর্তন।

কর্তব্য অনপস্থিতির জন্য মজুরী কর্তন ঃ
১২৬(১) ধারা অনুযায়ী ১২৫ ৯২) ধারা অনুযায়ী –
কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিতির কারনে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কর্তন কেবল তখনই করা যাবে যখন তাহার নিয়োগের শতানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমস্ত সময়ের জন্য অথবা উহার কোন অংশের জন্য অনুপস্থিতি থাকে।
২) উক্তরূপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমান এর অধিক হইবে না তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এতদউদ্দেশ্যে প্রনীত বিধি সাপেক্ষে, যদি দশ বা ততোধিক শ্রমিক একযোগে বিনা নোটিশে এবয় যুক্তিসংগত কারন ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত থাকেন; তাহা হইলে উক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের নিকট হইতে মজুরী কর্তনের সহিত অনধিক আট দিনের মজুরী ও যুক্ত করা যাইবে যাহা তাহার নিয়োগের শর্তানুযায়ী নোটিশের পরিবর্তে মালিককে প্রদেয় হয়।

ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য কোন শ্রমিক কোন কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিত বলিয়া গন্য হইবে যদি তিনি উক্ত স্থলে উপস্থিত হওয়া স্বত্তে¡ও কোন অবস্থান ধর্মঘটের কারনে অথবা অন্য কোন অযৌক্তিক কারনে তাহার কাজ করিতে অস্বীকার করেন ইহা ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাও ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

ক্ষতি বা বিনষ্টিার জন্য মজুরী কর্তনঃ
১২৭(১) ধারা ১২৫(২) (গ) এর অধীন কোন কর্তন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের অবহেলা বা গাফলতির ঘটিত মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্টির পরিমান অপেক্ষা বেশি হইবে না, এবং উক্তরূপ কোন কর্তন করা যাইবে না উক্ত কর্তনের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরন করিয়া যথাযথ তদন্তেও মাধ্যমে উক্ত শ্রমিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
২. উক্তরূপ সকল কর্তন এবং উহার সকল আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিষ্ঠারে পরিশোধের দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক লিপিবদ্ধ করিতে হজইবে।
 
মজুরী বোর্ড -১৩৮
শরীফ গ্রুপ ১৯৬১ এস আর ও ১৪/অ্যাক্ট/৯৪ মারফত সরকার কর্তৃক নির্দ্ধারিত ন্যুনতম মজুরী সুপারিশ এবং শ্রম ও কর্ম সংস্থাপন মন্ত্রালয়ের ন্যুনতম মজুরী অধ্যাদেশ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সময়ে সময়ে জারীকৃত অন্যান্য সকল প্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এর কর্মচারীদের মজুরী ও বেতন পরিশোধ করে থাকে।
কোম্পানী কার্য্যকলাপকে পুরস্কৃত করে এমন বেতন কাঠামো প্রদানে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিকদের মাসিক মজুরী সরকার কর্তৃক ১৯৬১ এস আর ও ১৮ আইন/৯৪ এবং ধারা ১৩৮, ২০০৬ কর্তৃক নির্দ্ধারিত ন্যুনতম মজুরী অনুসারে মজুরী  প্রদান করা হয়ে থাকে।

মজুরী পরিশোধঃ
কেবলই লিখিত ভাবেই ন্যায্য মজুরী পরিশোধের প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেনি বরং দৃঢ়ভাবে এর মূল্যবান অভ্যন্তরীন গ্র্রাহক অর্থাৎ শ্রমিকদের প্রতি এই প্রতিশ্রুতি ছড়িয়ে দিতে এবং প্রয়োগে বিশ্বাসী। শরীফ গ্রুপ ১২৩ ধারা অনুযায়ী প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের একই সময়ে অতিরিক্ত সময়ের কাজের জন্য মজুরী যাতে পরিশোধ করা হয়, তা নিশ্চিত করে থাকে।

শরীফ গ্রুপ সকল শ্রমিকদের মজুরী প্রদানের আগে সকল প্রয়োজনীয় বিভাজন প্রদর্শন পূর্বক দেশীয় ও ইংরেজী ভাষাতে প্লে-স্লিপ প্রদান করে থাকে।
# শরীফ গ্রুপ পূর্বতন ১ (এক) বৎসরের মূল পে-রোল দলিলাদি হিসাব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষন নিশ্চিত করে থাকে এবং পরীক্ষা নিমিত্ত যাতে সকল সময়ে দলিলাদি হাতের সামনে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করে থাকে।
===০===০===০=== 

No comments

Powered by Blogger.