আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ পদ্ধতি (Interpersonal Communication System)


সপ্তদশ অধ্যায়

আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ পদ্ধতি
(Interpersonal Communication System)

শরীফ গ্রুপ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করেন যে, কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সাথে একটি সুস্থ্য এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে একটি সুষ্ঠু আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী। এই আন্তঃব্যক্তি যোগাযোগ নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সাথে একটি সুন্দর এবং সচ্ছ যোগাযোগ পদ্ধতি স্থাপন করে কারখানার কর্ম পরিবেশের উলে¬খযোগ্য উন্নতি করা সম্ভব।

১। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সাথে সাধারণ আলোচনাঃ
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের ফ্লোরে কাজে যোগদান করার পূর্বে প্রশিক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী কারখানার সাধারণ নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করা হবে এবং যোগদানের পনের দিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ সূচী অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

২। ফ্লোরে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে মাসিক সাধারণ সভাঃ
প্রত্যেক মাসে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষ অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একটি সাধারণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত আলোচনা সভায় শ্রমিকগণ তাদের কারখানার কাজ বা কাজের পরিবেশ বা তাদের পেশাগত কোন সমস্যা সম্পর্কিত ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত কোন অভিযোগ/পরামর্শ থাকলে তা উথ্থাপন করবেন। এই জাতীয় সভার মাধ্যমে শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে দুরত্ব  হ্রাস পাবে এবং পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি সুন্দর কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে।

৩। শ্রম কল্যাণ কমিটির মাসিক সভাঃ
শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত এজেন্ডা/আলোচ্যসূচী নিয়ে কারখানার শ্রম কল্যাণ কমিটি এবং কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে প্রত্যেক মাসে একটি সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। শরীফ গ্রুপ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করেন যে, শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উত্থাপিত যে কোন সমষ্টিগত সমস্যার সমাধান শ্রমকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে উভয়ের মতৈক্যের ভিত্তিতে সমাধান  করে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। 

৪। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত অভিযোগ পদ্ধতির মাধ্যমেঃ
শ্রমিকগন তাদের যে কোন অভিযোগ/অনুযোগ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার লক্ষ্যে ‘অভিযোগ নীতিমালায়’ বর্ণিত যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন।

৫। সাধারণ নোটিশ বা দপ্তরাদেশঃ
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত যেকোন সিদ্ধান্ত নোটিশ অথবা দপ্তরাদেশ লিখিতভাবে  সকল বিভাগীয় প্রাধানকে অবগত করতে হবে এবং শ্রমিকদের অবগতির জন্য কারখানার প্রধান নোটিশ বোর্ডসহ সকল নোটিশ বোর্ডে টানানো থাকতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, নোটিশের ভাষা অবশ্যই যেন শ্রমিকদের জন্য সহজ বোধগম্য হয়।

৬। পি এ সিস্টেম এর মাধ্যমে যোগাযোগঃ
প্রশাসনিক কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এবং এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের যে কোন সিদ্ধান্ত/নোটিশ/দপ্তরাদেশ শ্রমিকদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো অত্যাবশ্যকীয়। যে কোন নোটিশ বা দপ্তরাদেশ লিখিতভাবে সকল বিভাগীয় প্রধানকে বিতরণ করার পর শ্রমিকদের অবগতির জন্য কারখানায় স্থাপিত পি এ সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বোধগম্য ভাষায় ঘোষনা করতে হবে। 

৭। কমপ্লায়েন্স ও পার্সোনেল ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগঃ
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো ছাড়াও কারখানায় কর্মরত যে কোন শ্রমিক যে কান সমস্যা  পার্সোনেল এবং কমপ্লায়েন্স বিভাগের যে কোন কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে পারবেন। অভিযোগ গ্রহনকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব কারাখানা কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবেন।

কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে আশা করে যে, উপরোক্ত পন্থাসমুহ যদি কারখানার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয় ; তবে প্রতিটি স্তরেই নিজেদের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নে কোনরূপ বাঁধার সৃষ্টি হবে না।

===0===0===0===

No comments

Powered by Blogger.